অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিলো সরকার

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

এর আগে গত ৪ জানুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন দেশে আনতে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন, যেটা সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদন হচ্ছে, সেটার ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন দেওয়া হলো আজ। এতে ভ্যাকসিন আসার রাস্তা ওপেন হলো, বাংলাদেশ আমদানি করতে পারবে এই ভ্যাকসিন।

তিনি বলেন, আজ পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি কমিটির মিটিং ছিল। ১৪ সদস্যের সে কমিটির সুপারিশে ভ্যাকসিনের মূল্যায়ন, রিভিউসহ সবদিক পর্যালোচনা করে অনুমতি দেওয়া হয়।

এই কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বছার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া এ সাত দেশের কোনও একটি দেশে যদি ড্রাগের অনুমোদন থাকে, তাহলে সেখানকার অনুমোদনের ভিত্তিতে আমরা (ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর) অনুমোদন দেব। যেহেতু যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ (মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি), ইইউ (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন) অ্যাপ্রুভ করেছে তাই আমরা সে স্ট্যার্ন্ডাডটাই ফলো করেছি। যেটা ওষুধ প্রশাসনের প্র্যাকটিস রয়েছে।

অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বছার বলেন, এটা ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন, রেজিস্ট্রেশন নয়-জরুরি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা শর্ট টার্ম, রেজিস্ট্রেশন পরে-সিচুয়েশনের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে-এটাই মূল কারণ আমাদের সুপারিশ করার জন্য।