গতানুগতিক পদ্ধতিতে এগিয়ে যাওয়া যাবে না: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘দেশের সব প্রান্তে দেশীয় প্রজাতির মাছ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। অথচ একটা সময় মাছের সংকট শুরু হয়েছিল। রাসায়নিক সারের ব্যবহার, ভূমির অপরিকল্পিত ব্যবহার, পুকুর, হ্রদসহ অন্যান্য জলাশয়ের অপর্যাপ্ততার কারণে মৎস্য উৎপাদন কমে গিয়েছিল।’ 

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)-এর বোর্ড অব গভর্নরস-এর ৪০তম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানিয়েছেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। এ বছর মৎস্য গবেষণায় ব্যাপক সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশের মৎস্য বিজ্ঞানীরা অকল্পনীয় সাফল্য দেখাতে পেরেছেন। বড় বড় যন্ত্র নেই, বড় অঙ্কের বরাদ্দ নেই, তবু তারা গবেষণায় সাফল্য দেখাতে পেরেছেন। ছোট ছোট দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছ তারা ফিরিয়ে এনেছেন। বৈলী, বালাচাটা, আঙ্গুস, জাতপুঁটি মাছের প্রজনন কৌশল ও চাষাবাদ পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। দাতিনা মাছের প্রজনন কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে ময়মনসিংহে মাছের লাইভ জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বিএফআরআই বোর্ড অব গভর্নরস-এর সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব মুন্সী আবদুল আহাদ ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মাহবুবা পান্নাসহ আরও অনেকেই সভায় অংশ নেন।