মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্তি মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ও চেতনাকে দুর্বল করছে

মুক্তিযোদ্ধারা দৃশ্যত বিভক্তির মধ্যে আছে। এ বিভক্তি মুক্তিযুদ্ধের অর্জন এবং চেতনাকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দলের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্র সাম্প্রদায়িকতা দেশের হাজার বছরের লালিত ঐতিহ্যকে নষ্ট করতে চায়। এদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশবিরোধী অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা নস্যাতের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এই অপশক্তি গণতন্ত্র, প্রগতি ও উন্নয়নের প্রধানতম প্রতিবন্ধকতা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত্রে লিপ্ত সাম্প্রদায়িক শক্তি।

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে এগিয়ে চলছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিএনপি নেতারা হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে চিরাচরিত মিথ্যাচারের রেকর্ড বাজাচ্ছে, তারা আসলে শীতনিদ্রায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, যারা বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করবে, তারা ভবিষ্যতে কোনোদিন দলীয় মনোনয়ন তো পাবেনই না, দলের কোনও পর্যায়ে তাদের পদও দেওয়া হবে না। পৌরসভা নির্বাচনের আসন্ন তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের যারা বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। তাদেরকে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে অনতিবিলম্বে সরে দাঁড়াতে কঠোর নির্দেশ দিয়ে দলের স্বার্থে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, সব ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর হয়ে কাজ করতে হবে। যারা বিদ্রোহ করছে বা করবে তাদের আর কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। দলের সিদ্ধান্ত মেনেই  রাজনীতি করতে হবে।

২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপকমিটির আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপকমিটির চেয়ারম্যান রশীদুল আলম, সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।