সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মণি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে এটি কার্যকর শুরু হবে বলে মন্ত্রী জানান। অবশ্য বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চলতি শিক্ষাবর্ষের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দিতে চাইছে না বলেও তিনি জানিয়েছেন। 

রবিবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশে সংসদে উত্থাপিত বিলের সংশোধনী ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর বিষয়ে সংসদ সদস্যদের প্রস্তাবগুলোর জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী মাসে বা দু’মাস বাদে পেনডেমিক কোথায় কোন অবস্থায় থাকবে তা এখনও বলার সুযোগ আসেনি। তবে যে তথ্য আছে তাতে দেখছি আমাদের দেশে সংক্রমণের নিম্নগতি। এটা সরকারের বিরাট সাফল্য।’

সংক্রমণের রিয়েল টাইম বিচার বিশ্লেষণ করে সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে কিনা, ঘাটতি হচ্ছে কিনা, আগামী শিক্ষাবর্ষে কী করে তা পূরণ করবো সব কিছুই বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। যার ফলে আমরা নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে অ্যসাইনমেন্টের দিয়েছি। আমরা এখন ঠিকে করেছি এই শিক্ষাবর্ষে (২০২১) কোথায় কোথায় কী ঘাটতি রয়েছে। সেটাকে কী করে পূরণ করবো? এই শিক্ষাবর্ষে আমরা কতদিন পেতে পারি সেটার ওপরও অ্যাসেসমেন্ট করছি। পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য ন্যূনতম যে দক্ষতাগুলো অর্জন করতে হবে তা কারিকুলামের মাধ্যমে কতটুকু দিতে পারবো তা বিবেচনায় নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের (২০২১) যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে তারা প্রায় একটি বছর সরাসরি ক্লাসে অংশ গ্রহণ করেনি। অনলাইন কিংবা টেলিভিশনে করেছে। এর একটি অংশ হয়তো একেবারেই বাইরে রয়ে গেছে। এসব কিছু বিবচেনায় নিয়ে আমরা এবারের এসএসসি ও এইচএসসির একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করেছি। তা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে। তার ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারির কোনও এক সময় যদি আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি তাহলে সেই অ্যাব্রিজ সিলেবাসের ওপরে এসএসসির ক্ষেত্রে তিনমাস ও এইচএসসির ক্ষেত্রে চার মাস যদি অন্তত ক্লাস করাতে পারি তাহলে পরীক্ষা নিতে পারবো।

শতকরা ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে চায় এমন জরিপ রিপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন এসএমএস, ইমেইলসহ নানা ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে তথ্য পাচ্ছি তার ক্ষেত্রে আমরা এর উল্টোটা দেখতে পাচ্ছি। তারা বলেন, আমাদের পরীক্ষা দিতে বলবেন না। তাদের অনেকেই এবারের এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষাও দিতে চায় না। কাজেই এটি নিয়ে নানা রকমের মত আছে। অবশ্যই আমরা শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাদের সবাইকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করেই অগ্রসর হচ্ছি।’