যোগ্যতাবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসর ভাতার উদ্যোগ

সদ্য জাতীয়কৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরে যাওয়া যোগ্যতাবিহীন শিক্ষকদের অবসরভাতা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয়কৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যোগ্যতাবিহীন শিক্ষকদের অবসরভাতা মঞ্জুরির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ এসব বিদ্যায়ের যোগ্যতাবিহীন বাদে অন্য শিক্ষকদের অবসরভাতা যথাসময়ে প্রদান করা হচ্ছে বলে প্রতিমন্ত্রী এ সময় জানান।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ‘বর্তমানে সাত বছর তদুর্ধ্ব স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৪%। এর মধ্যে পুরুষ ৭৬.৫% এবং নারী ৭২.৩%। বর্তমানে ১৫ বছর তদুর্ধ্ব স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৭%। এর মধ্যে পুরুষ ৭৭.৪% এবং নারী ৭১.৯%।

বিএনপির আমিনুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৯৯ হাজার ৪৯৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে চার হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, নতুন বেতনস্কেল-২০১৫ অনুযায়ী অবসর ভাতার পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় বর্ধিত স্কেলে ভাতা প্রদানে সময় লেগে যায়। এ কারণে আবেদনের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত জমাকৃত সব আবেদন ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে বলে তিনি জানান।

জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকার প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ জেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’