তড়িঘড়ি সংবাদ সম্মেলনের ইতি টানলেন বাণিজ্য সচিব

রবিবার (২৪ জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ভোজ্যতেল বিষয়ক সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে চলছিল। এসময় আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা হায়দারের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লে তা দেশের বাজারে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর হয়, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশের বাজারে সেই পণ্যের দাম দ্রুত কমে না কেন?

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কিছুটা ইতস্তত বোধ করেন মোস্তফা হায়দার। এসময় বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন তাকে উত্তর দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, রবিবার ভোজ্যতেল বিষয়ক সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সভায় ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, টিসিবির চেয়ারম্যান, ভোজ্যতেল আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার, সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা, উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং সরকারের চারটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম সাতদিন পরে কমে গেছে। এজন্য প্রতিনিয়ত ফলোআপ রাখতে হবে। কারণ ভোজ্যতেল আমদানি নির্ভর। চাহিদার ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশের বাজারে বাড়ে, আবার আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশের বাজারেও কমে ভোজ্যতেলের দাম। যদিও একটা বিষয় হচ্ছে-আজকে যে পণ্যটা যে দামে বুক করেন সেটা আমাদের দেশে আসতে সময় লাগে তিন মাস।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানানোর পর সাংবাদিকরা ভোজ্যতেল আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা হায়দারের কাছে জানতে চান, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লে তা দেশের বাজারে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর হয়, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশের বাজারে সেই পণ্যের দাম আর সেভাবে দ্রুত কমে না কেন?

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে উত্তর দিতে কিছুটা ইতস্তত বোধ করেন তিনি। এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন তাকে উত্তর দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে তার কাছ থেকে ফ্লোর নিয়ে জানান, আজকের এই সংবাদ সম্মেলন বাণিজ্যমন্ত্রী মহোদয় ডেকেছেন। আজকের এই সংবাদ সম্মেলন এখানেই শেষ। বলেই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সচিবের পাশেই বসা ছিলেন।