ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা পরিবারকেও জানাইনি: নাসিমা সুলতানা

দেশে শুরু হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে প্রাথমিকভাবে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন পেশার ২৬ জনকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ।

প্রথম দিনেই ভ্যাকসিন নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আগে থেকে পরিবারকে কিছু জানাননি তিনি। নাসিমা সুলতানা বলেন, যেভাবেই হোক মানুষের মধ্যে একটা অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অন্য কর্মীদের বলবো ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা, আমি যদি না নিয়ে বলি তাহলে সেটা হয়তো সঠিক হবে না। আমি আমার পরিবার, সহকর্মীদের জানাইনি। আমি নিজে থেকেই সংকল্প করেছি। ভ্যাকসিন নিলে মানুষের যে ক্ষতি হবে এই অপপ্রচার বন্ধ হবে।

তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন খুবই সাধারণ একটা বিষয়। খুবই ছোট একটি সুই, কোনও ব্যথাও অনুভব করিনি আমি। ছোটবেলায় আমরা ভ্যাকসিন নিতেও ব্যথা পেয়েছি। এখন আরও আধুনিক, এখন মানুষকে কম কষ্ট দেওয়া হয়।

দেশে প্রথম দিনে যারা স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন স্বাস্থ্যকর্মী রুনু ভেরোনিকা কস্তা, ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, মো. দিদারুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ, মো. মাজেদুল ইসলাম, সানজিদা সুলতানা, মো. আব্দুল হালিম, মো. এনামুল হাসান, মো. হামজা, শাম্মী আকতার, ডা. আল মামুন শাহরিয়ার সরকার, মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, ডা. ফরিদা ইয়াসমিন, ডা. আফরোজা জাহিন, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আবদুল কাদের খান, মো. আব্দুর রহিম, কাজী জসিম উদ্দিন, মোশারফ হোসাইন, সাংবাদিক মাসুদ রায়হান পলাশ, সাংবাদিক মো. আল- মাসুম মোল্লা, আমিরুল মোমেনিন, মিস মুন্নি খাতুন, মো. আশিফুল ইসলাম ও দেওয়ান হেমায়েত হোসাইন।

বৃহস্পতিবার ৫টি হাসপাতালে অন্তত ৫০০ জনকে দেওয়া হবে এই ভ্যাকসিন।