বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব বৈঠকে প্রাধান্য পাবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠেয় বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র সচিব বৃহস্পতিবার দিল্লি গেছেন।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘দুই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আলোচনা হবে। বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, দ্রুত এলওসি প্রকল্প বাস্তবায়নসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।’

নতুন আর কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘ইনফরমেশন টেকনোলজিতে নতুন কিছু করা যায় কিনা, সেটি নিয়েও আলোচনা হতে পারে।’

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডিসেম্বরে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনেক বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। ওই বিষয়গুলো সামনের দিনগুলোতে কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটি শুক্রবারের বৈঠকের আলোচ্য বিষয়।’

আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় কী কী বিষয় সম্পাদিত হবে এবং সমঝোতার বিষয়গুলো দুই দেশের কোন কোন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে, তা নিয়েও দুই পক্ষ আলোচনা করবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব আমরা দেবো এবং ভারতীয়রা যদি মেনে নেয়, তবে ফাস্ট  ট্র্যাকে বিষয়টি সমাধা হবে।’

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে কোন কোন দেশে, যেমন- দিল্লি, লন্ডন, নিউ ইয়র্কসহ অন্যান্য জায়গায় যৌথভাবে অনুষ্ঠান করা যায় কিনা, সে বিষয়েও আলোচনার সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান।

কুষ্টিয়ার সীমান্তে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ চালু করা, একাত্তরে আশুগঞ্জে নিহত ভারতীয় সৈনিকদের স্মরণে একটি সিমেট্রি স্থাপন, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করাসহ অন্যান্য বিষয় মার্চের মধ্যে শেষ করা যায় কিনা, এসব ইস্যুতে দুই পক্ষ আলোচনা করতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিভিপি সচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্য দিল্লিতে কনসুলার সেবা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোনও গ্রেফতার বা আটকের খবর দ্রুত অন্য দেশকে দেওয়ার বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে। এছাড়া, কনসুলার এক্সেস, সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিনিময় ও ভিসা সংক্রান্ত বিষয় দ্রুত নিষ্পত্তির জন্যও দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম কনসুলার সংলাপ ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।