বাংলাদেশের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক আমরা কখনোই চাই না: দোরাইস্বামী

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অবিশ্বাস আছে, কিন্তু এর থেকে বের হয়ে এসে দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা করলে উভয়েরই উপকার হবে বলে মনে করেন ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক আমরা কখনোই চাই না। আমরা কেন চাইবো? একই সঙ্গে বাংলাদেশ অসফল হোক এটিও আমরা চাই না।’

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ভালো সম্পর্কে ভারতের কিছু এসে যায় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে অনুমান করা আমার কাজ না। আমার কাজ হচ্ছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে এবং এজন্য আমি এখানে আছি।’

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অন্য কোনও উদ্বেগের স্থান নেই এবং দুই দেশকে বড় আকারে উদ্যোগ নিতে হবে বলে তিনি জানান।

ভারতের মৌলিক স্বার্থের একটি হচ্ছে শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ভারতের পররাষ্ট্রনীতির একটি বড় পিলার বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বন্ধুত্ব সব সময় পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। কখনও কখনও আমি ও আমার সহকর্মীরা আমাদের সম্পর্ক নিয়ে অবিশ্বাস লক্ষ করি। শক্তিশালী, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধশালী ও বিকশিত বাংলাদেশ আমাদের মৌলিক জাতীয় স্বার্থের জন্য অপরিহার্য। আপনাদের সাফল্য আমাদের জন্য সবচেয়ে মঙ্গলের। এ নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন ঢাকা সফরের অগ্রাধিকার কোন কোন বিষয়ে থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই নিকট প্রতিবেশীর বন্ধুত্ব সুসংহত করে আগামী ৫০ বছরে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে দিকনির্দেশনার ওপর এই জোর দেওয়া হবে।

তিনি জানান, মার্চে দুই শীর্ষ নেতার আলোচনায় ঐতিহাসিক উপাদান, দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা, জ্বালানি ও উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়গুলোর পাশাপাশি সম্পর্কের পর্যালোচনা হবে।

তিস্তা চুক্তি সহসা হচ্ছে না ইঙ্গিত করে দোরাইস্বামী বলেন, যেকোনও ধরনের আন্তনদী চুক্তির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হয় এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এর সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে আলোচনা করছে।

তিনি বলেন, এছাড়া অন্য ছয়টি নদীর তথ্য-উপাত্ত বিনিময় হয়েছে এবং এই তথ্য সমন্বয় হওয়ার পরে চুক্তির বিষয়ে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হবো।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর জন্য কোভিড টিকা উপহার দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এটির জন্য প্রস্তাব করেছি এবং বাংলাদেশের সম্মতির জন্য অপেক্ষা করছি। বাংলাদেশ এই টিকা নিলে আমরা খুশি হবো।

ভিসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য এখনও পর্যটন ভিসা শুরু হয়নি। কিন্তু এরপরও প্রতিদিন ১৬০০ ভিসা ইস্যু করছি।