এক ছাতার নিচে আসবে বিস্ফোরক ও বয়লার দফতর

রাসায়নিকসহ অনেক ব্যবসা ও কারখানার জন্য বিস্ফোরক পরিদফতর, প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় ও কেমিক্যাল সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিতে হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনওটি জ্বালানি বিভাগের, কোনওটি শিল্প মন্ত্রণালয় কিংবা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এবার তাই  প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক ছাতার নিচে আনার চিন্তা করছে সরকার।

সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগ থেকে বিস্ফোরক পরিদফতরকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য নতুন একটি জনবল কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (অপারেশন) ওই কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের এক বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হলে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বলেন, বিস্ফোরক পরিদফতর, প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় ও এরপর কেমিক্যাল সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই ছাতার নিচে এনে সেবা দেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে মন্ত্রিসভা কমিটি এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।  

প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় যে কাজ করে-বয়লার আমদানির জন্য ছাড়পত্র (এনওসি) দেওয়া, বয়লারের নকশা পরীক্ষা ও পরিদর্শনের পর নিবন্ধন দেওয়া, বয়লার পরিদর্শনের আগে প্রত্যয়নপত্র নবায়ন, স্থানীয়ভাবে তৈরি বয়লারের পরিদর্শনকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে সনদ দেওয়া এবং বয়লারের কাজে নিয়োজিত শিক্ষানবিশদের বয়লার পরিচারক সনদ দেওয়া।

অন্যদিকে রাসায়নিক আমদানি বা বিক্রি ছাড়াও গ্যাস বিপণন, এমনকি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণেও বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স নিতে হয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলো এক ছাতার নিচে আসলে অনুমোদন, ব্যবহার এবং পরিদর্শনের কাজগুলো একই জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ‘বিষয়টি এককভাবে আমাদের ওপর নির্ভর করছে না। আমরা আন্তরিকভাবেই চাচ্ছি সমস্যাগুলো দূর করতে। আলোচনাও চলছে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সরকারের। এক ছাতার নিচে এসব প্রতিষ্ঠান এলে অনেক ভাল হয়।’