ইন্দো-প্যাসিফিকে নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চায় না বাংলাদেশ

মার্কিন সরকারের সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিকে নিরাপত্তা ইস্যুতে কাজ করতে বাংলাদেশ আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। সোমবার (১ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্র সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হোয়াইট হাউজ থেকে অতি উৎসাহী ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন মন্ত্রীকে ফোন করে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (এন্থনি ব্লিনকেন) আমাকে ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কোনও কথা বলেননি। তবে পরবর্তীতে হোয়াইট হাউজ থেকে একজন ডেপুটি আমাকে ফোন করে বলেন ‘তারা ইন্দো-প্যাসিফিকে সিকিউরিটি নিয়ে দৃঢ় একটি প্রোগ্রাম করতে চান’। আমি বললাম, ‘আমরা এখন আমাদের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত। প্রথমত আমাদের লোকদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান দিতে হবে। তাদের সুন্দর একটি জীবন দিতে হবে। এছাড়া সব দেশ আমাদের বন্ধু। সুতরাং আমরা খাদ্য ও ভালো জীবন দেওয়ার বিষয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।’

কে ফোন করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাম বলতে পারবো না। একজন ভদ্রমহিলা আমাকে ফোন করেছিলেন। তারা বলেছেন, বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা নিয়ে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। আমি বলেছি এটি নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করি না। আমরা অনেক বেশি নিরাপদ। আমরা উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে বেশি আগ্রহী। এই ফোন কলটি আমাদের তালিকায় ছিল না।

রোহিঙ্গা সমস্যা

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে নতুন মার্কিন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ। মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ হচ্ছে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে এবং সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের জায়গায় ফেরত পাঠানো। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি যুক্তরাষ্ট্র যেন রোহিঙ্গা বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগ দেয়।

রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন

রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, আপনারা প্রায়ই আমাদের উপদেশ দেন সুশাসন ও আইনের শাসন নিয়ে। আমরা আইনের শাসন ও আইনের বিচার চাই এবং আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কিন্তু আমাদের মধ্যে একটি গ্যাপ রয়ে গেছে। আমাদের দেশের এক আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। এখন সময় এসেছে তাকে আপনারা ফেরত পাঠান।’ মন্ত্রী ব্লিনকেনকে বলেন, এই সপ্তাহে আপনারা একজন ইসরায়েলিকে ফেরত পাঠিয়েছেন, একই কাজ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে করা উচিত। তিনি (ব্লিনকেন) বললেন, এটি আমাদের বিচার বিভাগ দেখছে। তারা স্বাধীন।