একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর এক নিকৃষ্টতম ‘গণহত্যা’: মার্কিন কূটনীতিক

বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চালানো হত্যাযজ্ঞকে পৃথিবীর ইতিহাসে একটি নিকৃষ্টতম ‘গণহত্যা’ হিসেবে  উল্লেখ করেছেন এর চাক্ষুস সাক্ষী মার্কিন কূটনীতিক ডব্লিউ স্কট বুচার। ব্রাসেলসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ’র সঙ্গে স্কটের আলোচনার একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার প্রদর্শন করা হয়। সেখানে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানের হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেন ওই সময় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে কর্মরত ডব্লিউ স্কট বুচার।

তিনি বলেন, ২৫ মার্চের আক্রমণ ছিল পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পরিচালিত একটি একপাক্ষিক যুদ্ধ।

ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনায় এই ভিডিওটি প্রদর্শিত হয়।

আন্তর্জাতিক এ প্যানেল আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ্ সঞ্চালনা করেন। আলোচক হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক গ্রেগরি এইচ স্টানটন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক-এর ভিজিটিং স্কলার, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন-এর সন্তান ড. তৌহিদ রেজা নূর।

স্টানটন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ নিঃসন্দেহে পৃথিবীর ইতিহাসে একটি নিকৃষ্টতম ‘গণহত্যা’। এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে গণহত্যার স্বীকৃতির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশ, আঞ্চলিক সংস্থা এবং চূড়ান্তভাবে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

ড. তৌহিদ রেজা নূর বলেন, বাংলাদেশে চালানো এই গণহত্যা নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা হয়নি এবং নানাবিধ কারণে যথাযথভাবে আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়নি। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশি গবেষকদের ইংরেজি ভাষায় অধিকতর গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত সালেহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এটি অর্জন করা সম্ভব। সংখ্যা এবং ভয়াবহতার বিচারে বাংলাদেশের গণহত্যা পৃথিবীর অন্যতম একটি জঘন্য গণহত্যা।