‘প্রতিটি জেলায় গণহত্যার জরিপ হলে শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে’

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ‘গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর জেলা জরিপ। গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নির্মম এই ইতিহাস নিয়ে এত বিস্তর কাজ আর হয়নি। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই গবেষণা কেন্দ্র ২৮টি জেলায় জরিপের কাজ সম্পন্ন করেছে এবং বই আকারে প্রকাশ করেছে। এই ২৮টি জেলায় গণহত্যার তথ্য পাওয়া গিয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৮৫৪টি। প্রতিটি গণহত্যায় গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ জন শহীদ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। বাকি ৩৬টি জেলায় জরিপের কাজ সম্পন্ন হলে মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে এবং এ সংক্রান্ত বিতর্কের অবসান ঘটবে।’সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ

আজ সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর এবং গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে 'গণহত্যার পাঁচ দশক: স্বীকৃতি, বিচার ও ইতিহাসের দায়' শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এই সেমিনার হয়। গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি, লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।