‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য’

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উপযোগী মানবসম্পদ তৈরি করতে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য। সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় না এলে সুফল পাওয়া যাবে না।’ আর এ জন্য শিক্ষার ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া শিশুশ্রেণি থেকে শুরু করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রবিবার (১২ এপ্রিল) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভলান্টারি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের আয়োজনে ও প্রথম আলোর সহযোগিতায় ‘টেকনোলজি ড্রাইভেন ইন এডুকেশন অ্যান্ড ভিএসও স্কুল অ্যাপ: স্কোপ অ্যান্ড ফিউচার’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জাহিদ হাসান ও এটুআই কর্মকর্তা আফজাল হোসেন সারোয়ারসহ অংশীজনরা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিএসও লিড টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার পূর্ণ শ্রেষ্ঠ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শিক্ষাকে ডিজিটাল রূপান্তরে তাঁর দীর্ঘ ২১ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘শিক্ষাকে কেবল শ্রেণিকক্ষে বা পাঠ্যপুস্তকে সীমিত রাখলে প্রকৃত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নতুন প্রজন্ম ঘরে বসেই পার করছে দিন। এই সময়ে ইন্টারনেট তাদের সহায়তা করছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারনেট হচ্ছে জ্ঞান ভাণ্ডার। শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেটের খরচ ব্যয় নয়, এটি একটি বিনিয়োগ।’ করোনাকালে দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় ডিজিটালাইজেশনের ব্যাপকতা বেড়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সেবাগুলো ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিয়ে আসার কারণে এখন কোনও কাজ ফেলে রাখতে হচ্ছে না। মিটিংসহ অন্যান্য কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার ডিজিটালাইজেশন আগামী প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন।