পরীক্ষার হার কমলেও শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৪১৭ জন।  অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৭০৭টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৯০৬টি। গত ৫ দিনে ক্রমান্বয়ে নমুনা পরীক্ষা ৩৪ হাজার থেকে ১৯ হাজারে নেমে এসেছে। কিন্তু তাতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমছে না, বরং শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী।

গত সাত দিনের মধ্যে শুক্রবার সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন সাত লাখ ১১ হাজার ৭৭৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ এপ্রিলে শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ১১ এপ্রিল ১৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, ১২ এপ্রিল ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ১৩ এপ্রিল ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ১৪ এপ্রিল ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ১৫ এপ্রিল ২১ শতাংশ এবং  শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় সরকার। এরপর ১৮ মার্চ প্রথম রোগীর মৃত্যুর কথা জানানো হয়। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে দেশে সংক্রমণের হার বাড়তে থাকে।

এরপর আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে থাকলেও পরে সেটা কমতে থাকে। আবার নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও শীতের সময়ে আক্রান্তের হার ছিল নিম্নমুখী।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার তিন শতাংশের নিচে ছিল। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়।

কোনও দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিনা সেটা বোঝার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু নির্দেশনা রয়েছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে রোগী শনাক্তের হার। যদি টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকে, তাহলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ধরা হয়।