হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট: ওবায়দুল কাদের

হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি হেফাজতের তাণ্ডবে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত, তা আজ সবাই জানে। শুধু পৃষ্ঠপোষকতাই নয়, বরং এসব সহিংস ঘটনায় জড়িত ছিল বিএনপি।’

ওবায়দুল কাদের  মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহী সড়ক জোন, বিআরটিসি, বিআরটিএ'র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

কোনও দল বা আলেম ওলামা দেখে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা এ তাণ্ডবলীলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত, বাড়ি-ঘরে হামলা ও আগুন দিয়েছে, তাদের ভিডিও দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

বিএনপি নেতাদের ‘সরকার গণবিচ্ছন্ন’ বক্তব্যের  জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ১৩ বছর যাবৎ ধারাবাহিক ব্যর্থতার গ্লানিবোধ থেকে বিএনপি এসব কথা বলে। প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, বিএনপিই জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত ও গণবিচ্ছিন্ন। বিএনপি একযুগের বেশি সময় ধরেই আন্দোলনের হাঁক-ডাক দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু  তারা শুধু আন্দোলনই নয়, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে  নির্লজ্জ ভরাডুবিই প্রমাণ করে জনগণ থেকে কারা জনবিচ্ছিন্ন।’

বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার করছেন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের করোনার এ সময়ে রাজনৈতিক বিরূপ মন্তব্য করা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক দোষারোপ করোরই এসময় করা উচিত নয়। কিন্তু নিত্যদিন বিএনপির মিথ্যাচার ও অন্ধ সমালোচনার জবাব দিতে হয়। জন্মলগ্ন থেকে যে দল অগণতান্ত্রিক পথরেখা ধরে হেঁটেছে, তারা আজ গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজেছে এবং সবক দিচ্ছে দেশ ও জাতিকে।’

‘বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে— না ভোটের বাক্সবিহীন হ্যা-না ভোট, আর রাতের বেলায় কারফিউ’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির গণতন্ত্র মানে ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন, মাগুরা,ঢাকা -১০ আসনের উপনির্বাচন, আর এককোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারের প্রস্ততি। গণতন্ত্রে বন্ধুর পথ ধরে হাঁটছেন শেখ হাসিনা। বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে অত্যন্ত আন্তরিক বর্তমান সরকার। কিন্তু বিএনপি এ পথে বড় বাধা। তাদের অসহযোগিতা এবং বাধার কারণেই গণতন্ত্রের মসৃণ যাত্রা বারবার হোঁচট  খেয়েছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গ্রাহকদের কাছে বিআরটিএ'র গ্রহণযোগ্য করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানে হয়রানি আগের তুলনায় কমলেও কিছু কিছু এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো বন্ধ করতে হবে।’ তিনি বর্ষার আগেই নির্মাণাধীন কাজ এগিয়ে নিতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।