ঈদের সময় গণপরিবহন চালুর পক্ষে নয় স্বাস্থ্য অধিদফতর

করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে দেশজুড়ে যানবাহন চলাচল না করে শুধু শহরের মধ্যে সীমিত আকারে চালুর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আজ সোমবার (৩ মে) রাজধানীর মহাখালীতে এক অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি ঈদের সময় গণপরিবহন চালু করা ঠিক হবে না। রবিবার (২ মে) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে সব মেয়রদের সঙ্গে। সেখানে সবাই একমত হয়েছেন যে ইন্ট্রাসিটি চলতে পারে, কিন্তু ইন্টারসিটি না।’

তিনি বলেন, ‘এই নিয়ম ঈদের সময় পর্যন্ত কি না বলতে পারবো না। তবে আমাদের বলা হয়েছে আপাতত এই নিয়মেই চলবে।’

১৬ মে পর্যন্ত সারা দেশে লকডাউন চলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আজ সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে নিয়মিত আলোচ্যসূচির বাইরে লকডাউন বিষয়ে বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ৬ মে থেকে জেলার ভেতরে বাস চলাচল করবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বাস যেতে পারবে না। লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে জনস্বার্থ বিবেচনায় আগামী ৬ মে থেকে সরকার শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কোনোভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনও গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখা অতিক্রম করতে পারবে না।

গণপরিবহনগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে বলে জানান তিনি।

আজ সোমবার (৩ মে) সকালে ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি'র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক হতে হবে।