ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বাংলাদেশে

করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বাংলাদেশে। আর এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিআইএসআইডি)। দেশে তাহলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেলো কিনা প্রশ্নে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এস এম আলমগীর জানান, ওখানে আপলোড হলে তো পাওয়াই গেছে।

আজ শনিবার (৮ মে) জিআইএসআইডি এই তথ্য জানিয়েছে। 

নমুনাগুলো থেকে জিনোম সিকোয়েন্স করা হয় আইইডিসিআর এর ল্যাবে। তথ্য আপলোড করেছে ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি)।

জিআইএসআইডি এর তথ্য বলছে, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বি-১৬১৭ যাদের শরীরে পাওয়া গেছে সেই দুই জনের বয়স ৪১ এবং ২৩। তারা ভারতে ভ্রমণে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের একজন খুলনার এবং একজন ঢাকার। দুই জনই পুরুষ। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল। তাদের একজনের ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনও ইতিহাস নাই। আরেকজনের বিষয়ে এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই। 

উলেখ্য, ভারতে এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথমে মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয় গত ৫ অক্টোবর। সম্প্রতি এটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে মৃত্যু ও শনাক্তের। আজ শনিবারও করোনাভাইরাস মহামারিতে একদিনে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে দেশটিতে। সরকারি হিসাবে ভারতে এদিন মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ১৮৭ জনের। আর একই দিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে চার লাখ এক হাজারের বেশি মানুষ।

ভারতে বর্তমানে মোট সক্রিয় রোগীর পরিমাণ ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৬ জন। মোট মৃতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৩৮ হাজারের বেশি।

ভারতের নতুন ধরনের করোনা ভ্যারিয়েন্ট কোনোভাবেই যাতে বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে সেজন্য সীমান্ত ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ। গত ২৬ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। তবে যেসব বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে তারা ভারতে বাংলাদেশি দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছেন।