‘৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে সরকার’

সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থায় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতিকেজি ২১০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১২০ টাকা, ডিম প্রতিটি ৬ টাকা এবং প্যাকেট দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার ৩০টি স্পটে সরকারের এ কার্যক্রম চলছে।

রবিবার (৯ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যক্রম ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

এ সময় মন্ত্রী জানান, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ লাখ খামারিকে প্রায় ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী জানান, গত বছর করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লাখ খামারিকে ৫৫৪ কোটি টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আরও ২ লাখ খামারিকে ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে। এটি যাচাই-বাছাই চলছে। এটি ঋণ নয়। ছোট ছোট প্রান্তিক খামারিরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে জন্য এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

মতবিনিময়কালে তিনি আরও বলেন, গত ৫ এপ্রিল থেকে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এবং এগুলোর উৎপাদন সামগ্রীর সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য সমন্বয়ক হিসেবে কাজ শুরু করেছে। এ কারণে দেশের কোথাও দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের সরবরাহে কোনও ঘাটতি নেই। এ বছর ভ্রাম্যমাণ বিক্রি ব্যবস্থায় সারাদেশে এ পর্যন্ত ২২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে।

তিনি জানান, ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে গত ৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত প্রায় ২২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার মাছ, ডিম, দুধ এবং মাংসসহ দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে। গত এক মাসে সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনা করা হয়েছে। প্রতি জেলায় প্রতিদিন গড়ে ১০টি করে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি ভাড়া করে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।