‘বোরো ধানের উৎপাদন এবার ১০ লাখ টন বাড়বে’

এবছর সারাদেশে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাওরসহ সারাদেশের ৬৪ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এ বছর বোরোতে দুই কোটি পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল এক কোটি ৯৬ লাখ টন। এখন কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত না এলে বোরো ধান উৎপাদনে আর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে আশা করা যায়। গত বছরের তুলনায় এবার কমপক্ষে ১০ লাখ টন উৎপাদন বেশি হবে।

মঙ্গলবার (১১ মে) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বোরো ধানের উৎপাদন পরিস্থিতি ও কৃষির সমসাময়িক বিষয়’ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, মহাপরিচালক বলাই কৃষ্ণ হাজরা, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, হাওরভুক্ত সাতটি জেলায় এ বছর ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৪ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যা দেশের মোট আবাদের প্রায় ২০ শতাংশ। আর শুধু হাওরের চার লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে এবছর বোরো ধানের চাষ হয়েছে।

তিনি জানান, এ বছর শুধু হাওরভুক্ত সাত জেলায় বহিরাগত শ্রমিক আনা হয়েছে ৪৯ হাজার ১০৮ জন। এছাড়া, এ বছর ধান কাটতে দুই হাজার ৬২০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ৭৮৯টি রিপার মাঠে চলমান আছে। এর ফলে প্রতিবছর কৃষকদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের ক্ষেত্রে এটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এতে একদিকে শ্রমিক সংকট থাকলেও দ্রুত ধান কাটা যাচ্ছে, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ কমার ফলে কৃষক লাভবান হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অঞ্চলভেদে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে ধান কাটাসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। এটি সারাবিশ্বে একটি বিরল ঘটনা।