প্রশ্ন করে বিএনপি থেকে জবাব পাই না: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি’র কাছে প্রশ্ন করে জবাব না পান না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঈদ ও করোনাকালে কারো বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব সরকারের সমালোচনার নামে এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা করেন যেগুলোর জবাব অনিচ্ছা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাকে দিতে হয়। যদিও আমরা যা জানতে চাই তার জবাব তাদের কাছে পাই না।’

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ঈদকে সামনে রেখে করোনানাকালীন এই সংকটে রাজনৈতিক ব্লেম গেম থেকে বিরত থাকা সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার ভুয়া জন্মদিবস নিয়ে জাতির কাছে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার সঠিক জবাব বিএনপির পক্ষ থেকে আজও পাওয়া যায়নি। ১৫ আগস্টের মতো নৃশংস হত্যা দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন, এটাই মানুষ আশা করেছিল। কিন্তু তা না করে প্রতিদিনই এক একটা বিষয় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন। এই বিষোদগারের জবাব তো আমাদের দিতেই হয়।’

সরকার নাকি বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার নয়, ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে বিএনপি। যেমনটি তারা ২০০১ সালে করেছিল। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় সরকার। ২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করে তারা।’

বিএনপির-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মীর রক্তে দেশকে মৃত্যু উপত্যকা বানানো হয়েছিল উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘তারা দেশকে গুম, হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের লীলাভূমিতে পরিণত করেছিল। শত শত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল তাকি ভুলে গেছে বিএনপি?’ 

ওই সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ৭১ এর পাক-হানাদার নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিল দাবি করে তনি বলেন, ‘সেই সব নির্যাতন- নিষ্ঠুরতার কথা মানুষ কিন্তু ভুলে যায়নি।’

বিএনপি নেতাদের আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কলঙ্কিত ইতিহাস আর বিকৃত অবয়ব ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেন না আয়নায়।’ তিনি বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষে ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত যে ত্রাস ও তাণ্ডব চালিয়েছিল, তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ ছিল বিএনপির। ভিডিও ফুটেজই তার প্রমাণ করে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর আগেও তারা ভাস্কর্য ইস্যুতে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ত্রাস সৃষ্টিতে হেফাজতকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিয়েছিল।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যত প্রয়াস তার সবগুলোর সঙ্গেই বিএনপি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তাই বিএনপি নেতাদের মুখে এসব কথা শুনলে হাসি পায়।’