রিজার্ভ এ মাসেই ৪৫ বিলিয়ন ডলার হবে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, গত জুনে রিজার্ভ ছিল ৩৬ বিলিয়ন ডলার, এখন এটি ৪৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ মাসেই এটি ৪৫ বিলিয়ন ডলার হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি আগামী অর্থবছরে নিঃসন্দেহে এটা ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।’

বুধবার (১৯ মে) অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সভায় অর্থমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী করোনার সময়ে যে সাহসী প্যাকেজগুলো নিয়েছেন একের পর এক এবং সবগুলো ক্ষেত্রেই তিনি স্পর্শ করেছেন। সে কারণেই আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির প্রত্যেকটাই এখন উন্নতির দিকে, নেগেটিভ কিছু নেই। আমাদের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪৭, যা আগের মতোই আছে। দুর্যোগের মধ্যেও এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের পণ্য রফতানি ৩২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, যেটার গ্রোথ ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। রেমিট্যান্সের গ্রোথ হলো ৪০ শতাংশ। ১১ মাসে রেমিট্যান্স হয়েছে ২২ বিলিয়ন ডলার।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নো পারফরমিং লোন অনেক কমে আসছে, এখন ৭ দশমিক ৬৬ আছে। গত বছরের জুনে ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। পুঁজিবাজারে গত বছরের জুনে ৩ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ছিল। এখন সেটা বেড়ে ৪ লাখ ৯৫ হাজার কোটি হয়েছে। আমরা জাতীয় রাজস্ব নিয়ে সব সময় বিচলিত থাকি, সেই জাতীয় রাজস্ব এপ্রিল পর্যন্ত গ্রোথ ১১ দশমিক ৮ শতাংশ।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বীকার করতে হবে আমরা আগের চেয়ে অনেক ভালো করছি। ভালো করার পেছনে যুক্তি হলো—প্রধানমন্ত্রী সময় উপযোগী, সময় মতো এবং প্রণোদনা দিয়েছেন, যা প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছেছে। যারা চাকরি হারিয়েছেন, যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অটিস্টিক সবাইকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই টাকার সাপ্লাই এখন বেশি। বিশেষ করে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি এখন অনেক ভালো। আমাদের ইমপোর্ট আগের চেয়ে অনেক ভালো হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘১০ টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্টের বিষয়টি আনা হয়েছিল, যাতে তারা ব্যাংকমুখী হয়। সেটি করে আমরা তাদের ব্যাংকে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করেছি। আমরা সাহায্য ব্যাংকে দেবো বলেই তাদের ব্যাংকমুখী করা হয়েছে।’