স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে কাজ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

গুণীজনদের হাতে স্বাধীনতা পদক-২০২১ তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দেশের মানুষ যেন আরও সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সে লক্ষ্য নিয়ে তার সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে গণভবনে স্বাধীনতা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশটা যাতে এগিয়ে যায়, দেশের মানুষ যাতে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে, সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে সেটাই সব সময় আমরা চাই। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা স্বাধীন জাতি, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমরা সব সময় বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলবো। কারও কাছে হাত পেতে না, করুণা ভিক্ষা করে না।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে পর মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জনকে ব্যর্থ করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি না একটা স্বাধীন জাতি বা স্বাধীন দেশের নাগরিক যারা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে তারা কীভাবে আবার পরাজিত শক্তির পদলেহন করতে পারে। এটা আমি ভাবতেও পারি না। কিন্তু সেই অবস্থাতেই বাংলাদেশকে কিন্তু নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।  জাতির পিতার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার সব ধরনের অপচেষ্টা করা হয়েছিল। জাতির পিতাকে হত্যার পর এমন একটা সময় ছিল যখন কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেছে এই কথা বলার সাহস পেতো না। তার (বঙ্গবন্ধুর) দল (আওয়ামী লীগ) যখন সরকারে এসেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের হারানো সম্মান  ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে। 

স্বাধীনতা পদক পাওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অনুসরণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণ প্রজন্মকে জাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আর আমি এটাই চাই যে আপনাদের (পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ) পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। স্ব-স্ব কর্মস্থানে তারা নিশ্চয়ই তাদের মেধা-মননে যোগ্য একটা অবস্থান করে নেবে এবং দেশ ও জাতির জন্য তারা কিছু অবদান রেখে যাবে। সেটাই আমরা চাই। অন্তত আপনাদের কাছ থেকে তারা উৎসাহ পাবে। দেশের জন্য, জাতির জন্য, জাতির কল্যাণের জন্য তারা কাজ করবে।

আজ হাতে গোনা কয়েকজনকে পুরস্কার দেওয়া হলেও সমাজের আরও অনেককে তাদের অবদানের জন্য এই পুরস্কৃত করা উচিত বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সমাজের বহু ক্ষেত্রে অনেকে অবদান রেখে যাচ্ছেন। তাদের পুরস্কৃত করতে পারা মানে আমরা আমাদের জাতিকে পুরস্কৃত করি, নিজেদের পুরস্কৃত করি।

আরও পড়ুন- স্বাধীনতা পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী