ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজিজ শরিফ ১৯৭৩ সালের এই দিনে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এইদিন বিকেলে গণভবনে বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে একমাত্র সমাজকল্যাণমন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরী ছাড়া বাকি সবাই উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশে প্রতিবাদ দিবস পালিত
পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডাকে সারাদেশে প্রতিবাদ দিবস পালন করা হয়। বাসস, এনা পরিবেশিত খবরে বলা হয় এ উপলক্ষে গণজমায়াতের আয়োজন করে বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান থেকে আটক বাঙালিদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়। বৃষ্টির জন্য নির্ধারিত বিক্ষোভ মিছিলটি বাতিল হয়।
১৯৭৩ সালের এইদিন বিকালে চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে-এর বার্ষিক প্রদর্শনীর তৃতীয় দিনে বিশ্ব বরেণ্য শিল্পী পাবলো পিকাসোর জীবনের ওপর আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বিশ্ব শান্তি পরিষদ সেক্রেটারি জেনারেল রমেশ চন্দ্র বলেন, পাবলো পিকাসো ছিলেন বিশ্বশান্তির অন্যতম অগ্রনায়ক। পিকাসো একটি নাম একটি বিষয়, এবং সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন তিনি। পিকাসো সব সময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতে বসবাসকারী বাস্তুচ্যুত প্রায় পাঁচ লাখ লোককে স্থানান্তরে যুক্তরাষ্ট্র যে কোনও যুক্তিসঙ্গত উপায়ে সাহায্য করবে। কংগ্রেস কমিটি এ সুপারিশ করে।
প্রতিনিধিসভায় প্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কিত পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিষ্পত্তিতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হতে পারে-
১৯৭১ সালে আটক ৯২ হাজার বন্দি ও তাদের পরিবারবর্গের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি, বাংলাদেশ কর্তৃক যুদ্ধাপরাধের জন্য দীর্ঘকালীন বিচার পরিহার।
পাকিস্তানে নতুন করে মার্কিন ও চীনা অস্ত্র সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানকে এভাবে চীন-মার্কিন অস্ত্রে সজ্জিত করাটা উপমহাদেশের মানবিক সমস্যাগুলো সমাধানের সম্ভাবনাকে বিঘ্নিত করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে গণহত্যা ও অন্যান্য অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে; বাংলাদেশে তাদের বিচারের ব্যাপারে আইন প্রণয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জাতীয় সংসদের আসন্ন অধিবেশনে যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পর্কিত আইনের একটি বিল পাস হবে।