পাসপোর্ট ইস্যুতে ইসরায়েল নীতির পরিবর্তন হয়নি, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল বাদে’ এই শব্দ দুটি বাদ দেওয়া নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে। ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান বলেছেন, তারা এই সিদ্ধান্তে হতাশ। এই প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে সামনে রেখে ইসরায়েল বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এটি নিয়ে কেউ আর কোনও ঝামেলা তৈরি করবেন না।

বুধবার (২৬ মে) সকালে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মেডিক্যাল ত্রাণসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে দেওয়া ত্রাণসামগ্রী ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের হাতে তুলে দেন তিনি।

এ সময় মোমেন বলেন, ‘আমরা সব সময় প্যালেস্টাইন জনগণের পক্ষে আছি। ইসরায়েলকে আমরা স্বীকৃতি দিইনি এবং দেওয়ার কোনও ইচ্ছা আমাদের নেই। কয়েক মাস আগে আমাদের পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল বাদে’ এই শব্দ দুটি বাদ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কারণে এবং এর সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’ সম্প্রতি প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলের বর্বর হামলার সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিষয়টি সামনে চলে আসে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি আবার বলতে চাই, আমাদের ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। আমরা চাই না, এই বিষয় নিয়ে কেউ আবার ঝামেলা তৈরি করুক।’

ইসরায়েলে সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই নীতি অব্যাহত আছে। কোনও বাংলাদেশি যদি ইসরায়েল সফর করেন তবে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’

সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ভ্রমণ করা যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যেহেতু ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিইনি, সেজন্য আমাদের অনুমতির প্রশ্ন ওঠে না।’

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সব সময় আমাদের সঙ্গে ছিল এবং আছে। সম্প্রতি এই সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশিরা আমাদের জন্য অনেক সহায়তা দিয়েছে।’

ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য সংগ্রহ করা অর্থ কীভাবে সেখানে পাঠানো হবে, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ওই অর্থ দিয়ে মেডিক্যাল সামগ্রী কিনে পাঠানো হবে।’