রাষ্ট্রের জন্মের চেতনায় অবিশ্বাসীদের জন্য আ.লীগের দরজা বন্ধ: কাদের

রাষ্ট্রের জন্মের চেতনা যারা ধারণ করে না, তাদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরদিনের জন্য বন্ধ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। করোনা ও সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলা করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন অর্জনের প্রধান অন্তরায় সাম্প্রদায়িক শক্তি। এই সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। কাক ও কোকিলের পার্থক্য দেখতে হবে। কোনটা দাঁড় কাক আর কোনটা ময়ুর সেটা দেখতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে ওবায়দুল কাদের করোনা মহামারির কারণে সমস্যাগ্রস্ত সংস্কৃতিকসেবীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জাতির আত্মা হচ্ছে সংস্কৃতি উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘এই আত্মাকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বাংলাদেশের জন্মের চেতনা যারা ধারণ করে না, তাদেরকে আমাদের প্রয়োজন নেই। এদের রুখতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনা যারা ধারণ করে না, তাদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরদিনের জন্য বন্ধ।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  বলেন, ‘বিএনপির নেতারা নাকি দেশে গণতন্ত্র খুঁজে পায় না। নির্বাচিত হয়ে বিএনপির মহাসচিব সংসদে এলেন না। বিএনপিসংসদ বর্জন করেনি, আরেকজন নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব সংসদে এলে তাদের কণ্ঠ উচ্চ হতো। সরকারের সমালোচনা করে ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিতে পারতেন। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা ভুতের মুখে রামনাম। তারা সবকিছুতে ব্যর্থ, নিজেদের নেত্রীকে মুক্ত করতে পারেনি। নেত্রীর মৃক্তির জন্য রাস্তায় একটি মিছিলও করতে পারেনি। শেখ হাসিনা মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করেছেন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আর সাম্প্রদায়িক শক্তির ধারক বাহক বিএনপি। তাদের ষড়যন্ত্র জনগণ সফল হতে দেয়নি, দেবে না।’

করোনা পরিস্থিতির বর্তমানে নিম্নগামী প্রবণতা জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দুনিয়ায় প্রশংসিত হচ্ছেন একারণে যে, তিনি জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে করোনা মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। প্রথম ঢেউ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। দ্বিতীয় ঢেউ লাফিয়ে লফিয়ে বাড়ছিল, এখন অনেকটা নিম্নগামী। যারা সমালোচনা করছেন, তারা এসব কিছু দেখেন না। দৈনিক মৃত্যু ১১২ জন থেকে ৪০ জনের নিচে নেমেছে। গতকাল (২৬ মে) ১৭ জন মারা গিয়েছেন। সংক্রমণ প্রায় ৮ হাজার থেকে দেড় হাজারে নেমেছে।’

আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।