কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই বিএনপির: তথ্যমন্ত্রী

‘খালেদা জিয়া কেন কালো টাকা সাদা করেছিলেন’, এমন প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির পক্ষ থেকে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। এ সময় আসন্ন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকা নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে মন্ত্রী তাদের উদ্দেশে পাল্টা এ প্রশ্ন করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছে প্রশ্ন—বিএনপি নেত্রী  খালেদা জিয়া যে নিজে কালো টাকা সাদা করেছিলেন, তার কী জবাব আছে! আর প্রয়াত সাইফুর রহমান, যিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তিনিও কালো টাকা সাদা করেছিলেন, তারই বা কী জবাব!’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগে নিজেদের কালো টাকা সাদা করার জবাব দিন, তারপর সরকারের সমালোচনা করুন। নয়তো সমালোচনার নৈতিক অধিকারই থাকে না।’

অর্থনীতির স্বার্থে ইউরোপ, আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বহু দেশেই অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার এ সুযোগ রাখা হয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন,  ‘আমরা এটিকে সব সময়ের জন্য পুরোপুরি সমর্থন করি তা নয়, কিন্তু আমাদের দ্রুত বর্ধনশীল, উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে এ সুযোগ রাখা হয়েছে অর্থনীতির স্বার্থেই।’

ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির বরং উচিত ছিল এই করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপি বেড়েছে এবং মানুষের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে, তার প্রশংসা করা। রাত ১২টার পর যারা টেলিভিশনের পর্দা ফাটান, সরকারকে নানা পরামর্শ দেন, তাদেরও এ বিষয়ে অভিনন্দন দিতে দেখলাম না। দেশ ও মানুষের উন্নতি কি তাদের পছন্দ নয়?’

আওয়ামী লীগ দুর্যোগ-দুর্বিপাকসহ সব সময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অপরদিকে করোনার প্রথম দফায় বিএনপি মাঝে মধ্যে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ভান করে যে লোক দেখানো ফটোসেশন করতো, এখন তাও করে না, তারা শুধু সরকারের সমালোচনাতেই ব্যস্ত।’

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দলের ত্রাণ উপ-কমিটির সদস্য ও সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. শাহজালাল, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. আব্দুল মজিদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অতিথিরা ভারত সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শেরপুর, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা জেলা ও মোড়লগঞ্জ এলাকার প্রতিনিধিদের হাতে করোনা থেকে সুরক্ষার সামগ্রী তুলে দেন।