ধান-চালের বাজার মনিটরিং করবে সরকার

সরকার ধান ও চালের বাজার, বিশেষ করে ধান ও চালের আড়তদার বা পাইকারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য অধিদফতর। অতিরিক্ত দাম ঠেকাতে ধান ও চালের অবৈধ মজুত রোধ করতেই সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুন) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

খাদ্য অধিদফতর থেকে সোমবার (৩১ মে) আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে ধানের পরিপূর্ণ মৌসুম চলছে। বর্তমান সময়ে খোলা বাজারে ধানের প্রচুর সরবরাহ থাকে। মাঠ পর্যায়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্তমান ভরা মৌসুমে ধানের বাজার দর কিছুটা বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।’

‘বাজারে সক্রিয় বিভিন্ন ধরনের মিলার ও ব্যবসায়ী কর্তৃক সরকারি বিধিবিধান অমান্য করে অধিক পরিমাণ ধান-চাল ক্রয়ের প্রবণতা রয়েছে। বিশেষ করে পাইকারি ও আড়তদাররা কোনও কোনও  ক্ষেত্রে খাদ্যশস্য লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে প্রতীয়মান হয়। লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনা করার কারণে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বিপুল পরিমাণ ধান-চাল ক্রয় ও মজুত করার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে খোলা বাজারে ধান-চালের কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে এবং বাজার মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা চলমান বোরো সংগ্রহ কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘খোলা বাজারে ধানের কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধি রোধে তিনটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে—লাইসেন্সবিহীন খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীদের (বিশেষ করে আড়তদার ও পাইকারি) বাধ্যতামূলক খাদ্যশস্য লাইসেন্স প্রদান নিশ্চিত করবেন। খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীদের প্রতি ৭ দিনের ক্রয়-বিক্রয় প্রতিবেদন (চালান, রসিদ ইত্যাদিসহ) আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দফতরে প্রেরণ নিশ্চিত করবেন এবং আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা খাদ্য অধিদফতরের সরবরাহ, বণ্টন-বিপণন বিভাগ ও সংগ্রহ বিভাগে সামারি প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন।’

‘কেউ যাতে অনুমোদিত পরিমাণের বেশি খাদ্যশস্য অবৈধভাবে মজুত করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে পরিবীক্ষণ জোরদার করারও’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য পরিদর্শকদের কার্যকর নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।