জিয়াউর রহমানের বিষয়ে প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, তার (জিয়াউর রহমান) বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। তার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রমাণ সাপেক্ষে নিতে হবে। কারণ, বিষয়টি আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তখন সেখানে প্রমাণ করতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর ৪ খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব-পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

বুধবার (২ জুন) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত চার খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাব ও পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এখন আমরা গেজেট আকারে প্রকাশ করবো। গেজেট প্রকাশ করলে আপনারা পাবেন। এর আগে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’

জিয়ার খেতাব বাতিল প্রক্রিয়া: আরও সময় নেবে সরকার

সংবিধান লঙ্ঘন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের অভিযোগে জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলেরও সুপারিশ করেছিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।

জিয়াউর রহমানের কবর সরবেই

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা হয়তো জানি ও বিশ্বাস করি তিনি (জিয়াউর রহমান) বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কথায়ও হয়তো এসেছে। তবে অনুধাবন করা এক জিনিস, তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করা আরেক জিনিস। তার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রমাণ সাপেক্ষে করতে হবে। এর জন্য আমরা একটা সাব-কমিটি করেছি এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবেদন দিতে। কমিটির রিপোর্ট এখনও হাতে পাননি বলে জানান তিনি।

বীরত্বপূর্ণ খেতাব বাতিল মুক্তিযুদ্ধকে গৌরবান্বিত করে না: আসম রব