রাজনৈতিক দলগুলো শর্ত মানছে তো? জানতে চায় ইসি

রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধনের শর্ত মানছে কিনা, তা জানতে দলগুলোতে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (৭ জুন) কমিশনের উপ-সচিব আব্দুল হালিম খানের সই করা চিঠি দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে ৩০ দিনের মধ্যে কমিশনকে বিষয়টি অবহিত করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া পৃথক আরেক চিঠি দিয়ে ইসি দলগুলোকে নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে বলেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২’-এর অনুচ্ছেদ ৯০-বি-এর শর্তাদি প্রতিপালনের শর্তে নিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০এইচ(ডি) অনুযায়ী, ৯০বি-এর দফা(১)(বি)-এর কোনও বিধান লঙ্ঘিত হলে ওই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল বলে গণ্য হবে। ওই বিধানের প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নীতিমালা-২০০৮-এর বিধি ৯ অনুসারে নিবন্ধনের শর্তাদি প্রতিপালন সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

চিঠিতে নিবন্ধনের শর্তানুসারে, ২০২০ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয়সহ সব পর্যায়ের কমিটিতে কমপক্ষে ৩৩ ভাগ সদস্যপদ নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষণের শর্ত মেনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধন নিয়েছে। এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দলগুলো তা প্রতিপালন করেছে কিনা, তা ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়।

যদি কোনও দল কোনও শর্ত প্রতিপালন না করে থাকে, কেন করেনি তার ব্যাখ্যাও ওই সময়ের মধ্যে জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক দলকে একই ধরনের চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ওই সময় নির্বাচন কমিশন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের খোঁজ-খবর নেয়। এরই  পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি)  নিবন্ধন বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন।

এদিকে নির্বাচন কমিশন তার নিবন্ধনে ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার শর্ত দিলেও দেশের কোনও রাজনৈতিক দল এ শর্ত পূরণ করতে পারেনি। বেশ কয়েকটি দল এই সময় আরও ১০ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। বাস্তবতা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশনও আরপিও’র ওই বিধান সংশোধন করে আরও সময় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য রয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

অডিট হিসাব চেয়েছে ইসি

নির্বাচন কমিশন পৃথক চিঠিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে  পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরের (জানুয়ারি ২০২০-ডিসেম্বর ২০২০) অডিট রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।