আগামী অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.১% : বিশ্বব্যাংক

আগামী অর্থবছরে (২০২১-২২) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। মঙ্গলবার (৮ জুন) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য ৩ জুন বাজেট ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছেন। কিন্তু বিশ্বব্যাংক মনে করছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী অর্থবছরে এত প্রবৃদ্ধি হবে না।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে লাগতে শুরু করেছে। আরোপ করা হয়েছে বিধি-নিষেধ। বিশ্বব্যাংক বলছে, আগামী অর্থবছরের ৫ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। এগুলো হলো - স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি এবং তৈরি পোশাকের রফতানি বৃদ্ধি।

এদিকে, বিশ্বব্যাংক চলতি বিদায়ী অর্থবছরে (২০২০-২১) বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে। আগের দেওয়া পূর্বাভাসে এই প্রবৃদ্ধির কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। গত জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, এ বছর ১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। পরে গত মার্চ মাসে প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস স্প্রিং ২০২১: সাউথ এশিয়া ভ্যাকসিনেটস’ প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস ৩ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত করে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলছে, আগামী অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরে (২০২০-২১) ভারতের জিডিপি ৭ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে পাকিস্তানে ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গত ৮০ বছরের মধ্যে মন্দা–পরবর্তী সময়ে এত প্রবৃদ্ধি আর হয়নি। কারণ, বিশ্বের কয়েকটি বড় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। অবশ্য উন্নয়নশীল দেশগুলো এখনও করোনা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।