রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষা করা মন্ত্রীর দায়িত্ব: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রত্যেক মন্ত্রীকে দুটি শপথ নিতে হয়, একটি হচ্ছে মন্ত্রী হিসেবে আরেকটি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য। সেজন্য রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষা করা যেকোনও মন্ত্রীর দায়িত্ব। টিআইবি এক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ এবং তথ্য চুরি দুটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলেছে বিধায় আমি টিআইবি’র বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই।

বুধবার (৯ জুন) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলহামরা নাসরিন হোসেন লুইজা সম্পাদিত ‘ছবির ভাষায় মহানায়ক বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ’ অ্যালবাম প্রকাশনা উৎসবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অঙ্গনা ও অরণ্যের সঞ্চালনায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ড. হাছান বলেন, তথ্য সংগ্রহ আর তথ্য চুরি এক জিনিস নয়। তথ্য সংগ্রহ করার নিয়ম আছে, সংগ্রহ আর চুরির মধ্যে প্রভেদ ভুলে এটিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। 

মন্ত্রী বলেন, পদে থাকাকালীন আমি কোনও অফিসে গিয়ে বিনা অনুমতিতে তাদের অগোচরে কোনও গোপনীয় তথ্য নিয়ে নিলে তাহলে নিশ্চয়ই আমি অপরাধী এবং সেক্ষেত্রে আমার বিরুদ্ধে সেই অফিসের কর্তৃপক্ষ যেকোনও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। আর সেই তথ্য যদি কোনও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি হয় তাহলে সেটা অপরাধটা আরও বড়।

দেশে তথ্য প্রকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে- টিআইবি’র এমন মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রোজিনার ঘটনাটি অনভিপ্রেত। সেটি আমি আগেও বলছি আজকেও একই কথা বলবো। কিন্তু দুর্নীতি বা কোনও বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য মন্ত্রণালয় বা যেকোনও অফিসে সাংবাদিকরা যেমন আবেদন করতে পারে, নাগরিকরাও করতে পারে। সে পদ্ধতিতে না পেলে তথ্য কমিশন আছে। সেখানে আবেদন করলে কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথ্য দেওয়ার জন্য বলে এবং গাফিলতি হলে জরিমানাসহ নানা ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তথ্য কমিশন গঠনের পর এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজারের মতো আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অতীতে দেখা গেছে টিআইবি বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার কথা বললেও অনেক ক্ষেত্রে গবেষণা না করে শুধু রিপোর্ট তৈরি করে সেটিকে গবেষণা বলে চালিয়ে দেয়, যেটি সমীচীন নয়। এছাড়া টিআইবি যেসব দেশ থেকে ফান্ড পায় তাদের নিয়ে কোনও রিপোর্ট করতে দেখি না।

টিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, টিকা দেওয়া শুরু করা দেশগুলোর প্রথম সারির অন্যতম বাংলাদেশ। সরকার শুরু থেকেই একটি সূত্রের ওপর নির্ভর করেনি, যত স্থান থেকে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যোগাযোগ রাখার কারণেই এখন চীন ও অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা আসছে। হঠাৎ যোগাযোগ করলে এত তাড়াতাড়ি টিকা আসতো না।