২০৪ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে

দেশের ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে সোমবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ, যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। শুরু থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে।   

প্রিসাইডিং অফিসাররা কেন্দ্রে আছেন। নিরাপত্তায় র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের প্রায় ৫০ হাজার সদস্য মাঠে আছেন। এ ছাড়াও রয়েছেন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন, ঝালকাঠী ও দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পৌরসভার ভোটগ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর বাইরে ২০টি ইউপিতে ভোট হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকি ১৮৪টি ইউপিতে ভোট হচ্ছে ব্যালটে।

একদিকে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ, অপরদিকে ভারী বৃষ্টি-এমন পরিস্থিতিতেই ভোটের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ভোটের দিন নির্বাচনি এলাকায় কোনও সাধারণ ছুটি থাকবে না। তবে ভোটকেন্দ্রসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

কমিশন সূত্রে জানা গেছে ২০৪ ইউপির মধ্যে ২৮টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন। বাকি ১৩টি জেলার ৪১টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮৫৯ জন, সংরক্ষতি মেম্বার পদে ২ হাজার ১৫৪ জন ও সাধারণ মেম্বার পদে ৬ হাজার ৯৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন কর্মকর্তা আছেন ৩২ হাজার ৭২৭ জন। মোতায়েন করা হয়েছে ৪৫ হাজারেরও বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। কেন্দ্রের বাইরে পুলিশের মোবাইল টিম ২০৪টি, স্ট্রাইকিং টিম ৭৪টি, র‌্যাবের ১২৪টি ও বিজিবি ১২৩ প্লাটুন সদস্য রয়েছেন। ইউপিতে ৩৯৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রথম ধাপে ৩৬৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হলেও করোনার উচ্চসংক্রমণের কারণে ১০ জুন জরুরি সভা ডেকে খুলনা বিভাগের সবগুলোসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং নোয়াখালীরসহ মোট ১৬৩টি ইউপির ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

বরিশাল বিভাগের ১৭৩টি, নরসিংদীর দুটি, গাজীপুরের ছয়টি, মাদারীপুরের ১৩টি, সুনামগঞ্জের দুটি, লক্ষ্মীপুরের ৬টি এবং রংপুর ও বগুড়ার একটি করে ইউপিতে ভোট হবে।