করোনাকালে বিএনপি ও এনজিওদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী

সরকারের সমালোচনায় মুখর বিএনপি ও এনজিও ব্যক্তিত্বদের করোনার এই সময়ে আর মানুষের পাশে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  ড. হাছান মাহমুদ।

রবিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য হাইফ্লো ক্যানুলাসহ করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘করোনায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি মহামারির প্রথম দিকে ফটোসেশন করেছে, এখন দ্বিতীয় ঢেউয়ে  দূরবীন দিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর অনেক এনজিও ১০ জনকে কিছু দিয়ে  ছবি তুলে সবাইকে দেখায়, বিদেশে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছেও পাঠায়। তাদের কেউ কেউ টকশো’তে সরকারের সমালোচনাই করে।’ ‘বিএনপি এবং এই সব সংগঠন যারা করোনার আগে এবং করোনাকালে সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত, তাদের কাউকে এখন আর মানুষের পাশে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তাদের সমালোচনা বন্ধ হয়নি’ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

মানুষের কল্যাণকে রাজনীতির ব্রত হিসেবে বর্ণনা করে  ড. হাছান বলেন, ‘জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ জন নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। বেশিরভাগ সদস্যই আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকে একাধিকবার। সারাদেশে প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী করোনায় মারা গেছেন। এরপরও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে আছেন। দলের পক্ষ থেকে সারাদেশে ললাখ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও ২ কোটি পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দেশের অন্য কোনও রাজনৈতিক দল মানুষের পাশে থাকেনি। অপরদিকে বিএনপি নেতারা এখন শুধু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য, আর তাকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে কথা বলছে।’ দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের কোনও চিন্তা আছে বলে মনে হয় না,  মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ থেকে অনেক রাজনৈতিক দলের শেখা উচিত।’

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, নীলফামারী, বগুড়াসহ কয়েকটি জেলার হাসপাতালের জন্য হাইফ্লো ক্যানুলা ও অন্যান্য করোনা সুরক্ষা সামগ্রী তাদের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন অতিথিরা।

এরপরই তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। করোনাকালে এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন ড. হাছান মাহমুদ।

গীতিকবি ফজল-এ-খোদার ইন্তেকালে তথ্যমন্ত্রীর শোক 

বরেণ্য গীতিকবি, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানটির রচয়িতা ফজল-এ-খোদার ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রবিবার (৪ জুলাই) ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮১ বছর বয়সে স্ত্রী ও তিন ছেলে রেখে ফজল-এ-খোদার প্রয়াণের সংবাদে মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

ড. হাছান তার শোকবার্তায় বলেন, ‘গীতিকার ফজল-এ-খোদা অর্ধশতাব্দী ধরে তার সৃষ্ট অজস্র কালজয়ী গানের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর  হৃদয়ে চিরঞ্জীব হয়ে রয়েছেন।’