অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে: খাদ্যমন্ত্রী

বেসরকারিভাবে চাল আমদানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, চালের অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে দ্রুতই অভিযান শুরু হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ঢাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ‘চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এবং খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবার পুরো বোরো মৌসুমেই চালের দাম বেশি। কিন্তু চাল উৎপাদনে ঘাটতি নেই, বাজারে পর্যাপ্ত চাল আছে বলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু চালের দাম কিছুতেই বাগে আসছে না।

মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে, এটি আরও জোরদার করা হবে। পাশাপাশি অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে দ্রুতই অভিযান শুরু হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে চাল আমদানি হচ্ছে এবং বেসরকারিভাবে চাল আমদানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’ মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতি মুনাফাখোর ও অবৈধ মজুতদারদের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না।’
সভায় মিল মালিকদের প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক নায্যমূল্যও পেয়েছে। ধান চালের ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ধানের অবৈধ মজুত করেছে অধিক মুনাফার আশায়। মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এ সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এসিআই লিমিটেডের অনুপ কুমার সাহা বলেন, বাংলাদেশে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে চালের দাম বেশি হচ্ছে। কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হলে চালের দামও কমে যাবে। কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচের সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে বাজার মনিটরিং সহজ হবে বলেও জানান তিনি।