বনানী ডিওএইচএসে বেওয়ারিশ কুকুর নিষিদ্ধ

রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস এলাকায় স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মালিক ছাড়া কুকুরের অবস্থানের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বনানী ডিওএইচএস পরিষদ। বুধবার (৪ আগস্ট) পরিষদের মেম্বার (অ্যাডমিন) কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত আসিফুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, ১৫ আগস্টের পর রাস্তায় কোনও কুকুর বেল্ট ও টোকেন ছাড়া এবং কোনও মালিক/সেবক ছাড়া দেখা গেলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সেই কুকুর বনানী ডিওএইচএস থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হবে।

নোটিশে ডিওএইচএস পরিষদ উল্লেখ করে, অতি সম্প্রতি বনানী ডিওএইচএস এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুর কর্তৃক কিছু বাসিন্দা, কিছু শিশু ও গৃহকর্মীর আক্রান্তের ঘটনা জানা গেছে। বেওয়ারিশ কুকুরের হিংস্রতা সম্পর্কে বাসিন্দাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছে পরিষদ। এমতাবস্থায় এই এলাকার বাসিন্দা, বিশেষ করে শিশুদের নিরাপত্তাকল্পে ত্বরিত আশু ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে কেউ যদি কুকুর পোষার মনস্থির করেন, তবে অবশ্যই উল্লেখিত বিষয় মেনে চলতে হবে।

এতে বলা হয়, পোষা কুকুরকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হবে। এটি কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না। পোষা কুকুরের ডাকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির কোনও ধরনের অসুবিধা সৃষ্টি করা যাবে না। এ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ এলে অথবা কুকুরের গলায় টোকেন ঝুলানো অবস্থায় না পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক কুকুর আটক ও বাজেয়াপ্ত করা হবে।

নোটিশে আরও বলা হয়, কুকুরের গলায় টোকেন সার্বক্ষণিক ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পোষা কুকুর দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা কুকুর কাউকে কামড়ালে এই সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়ভার কুকুরের মালিককে বহন করতে হবে। অন্যথায় মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুকুর পোষার জন্য প্রদানকৃত টোকেনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে পুনরায় নবায়ন করতে হবে। টোকেন কোনও অবস্থাতেই হস্তান্তর করা যাবে না।

ডিওএইচএস পরিষদ জানায়, কুকুর পোষার জন্য টোকেন ইস্যুকরণ বাবদ প্রতি কুকুরের জন্য ৫০০ টাকা ফি হিসেবে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডকে পরিশোধ করতে হবে। রাস্তায় কুকুর নিয়ে বের হলে অবশ্যই বেল্টসহ কোনও ব্যক্তি সঙ্গে থাকতে হবে। কোনও কুকুর বেল্ট এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের টোকেন ছাড়া রাস্তায় বের করা যাবে না।