খাদ্য ঘাটতি ঠেকাতে প্রয়োজনে চাল আমদানির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দেশে ‘কোনোভাবেই খাদ্য ঘাটতি রাখা যাবে না’ সতর্ক করে প্রয়োজনে চাল আমদানির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিবদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বুধবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি (মন্ত্রিপরিষদ সচিব) এ তথ্য জানান।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সচিবদের সভায় দেশের বিদ্যমান খাদ্য পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করেন খাদ্য সচিব। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে যাতে খাদ্য ঘাটতি না হয় সে জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করা প্রয়োজন, যাতে কোনোভাবেই দেশে খাদ্য ঘাটতি না হয়। দেশে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ কত সেটি যেন কৃষি বিভাগ স্পষ্ট করে। চাহিদা অনুযায়ী আমাদের উৎপাদন কতটুকু সে তথ্যও যেন জানায়।

সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে আমদানি করবে, আর উদ্বৃত্ত থাকলে তো আর আমদানির প্রয়োজন হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সে জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন, এখন থেকে বসে (বৈঠক করে) সেটি ঠিক করে ফেলতে হবে। যেহেতু অলরেডি বোরো ধান উঠে গেছে, গত বছর তিনবার বন্যা হয়েছে; যে কারণে গতবার আমনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার এখনও বন্যার তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখনও পানির স্তর গতবারের চেয়ে অনেক নিচে। সে কারণে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, খাদ্য এবং কৃষি; দু’জনে (দুই মন্ত্রণালয়) বসে একসঙ্গে কাজ করবে। ইরি থেকে দুই-তিনটি ভ্যারাইটি আসছে, সেগুলোর প্রোডাক্টিভিটি হাইব্রিডের কাছাকাছি’ বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বুধবার সকালে রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-এনইসির সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

উল্লেখ্য, সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে সর্বশেষ সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ৪ জুলাই চার বছর পর সচিব সভা করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়।