ছয় নদীর ৯ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপরে

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানিও বাড়লেও দেশের পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরিয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল। যদিও এখনও দেশের ৬ নদীর নয় পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানিও বাড়ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্ট এবং সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

তবে পদ্মা ও যমুনা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে দেশের পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরিয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে ওই সময় এসব অঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র এবং আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানির খুব দ্রুত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অধিদফতর দুটি।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৫১ থেকে বেড়ে ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরেশ্বর পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১৬ থেকে বেড়ে ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছে এখন। ভাগ্যকুল পয়েন্টের পানি এখন ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে যমুনা নদীর মথুরা পয়েন্টের পানি ১৩ থেকে কমে ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর আরিচা পয়েন্টের পানি ৬ থেকে কমে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্টের পানি ১৬ থেকে বেড়ে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে গড়াই নদীর কামারখালি পয়েন্টের পানি ১৪ থেকে কমে ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলেশ্বরী নদীর এলাসিন পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৭ থেকে বেড়ে ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে নতুন করে মেঘনার চাঁদপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৯  সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে  শেওলা স্টেশনে ১২২ মিলিমিটার। এছাড়া লরেরগড় স্টেশনে ১০৫, জাফলং এ ৫৪, কানাইঘাটে ১০৩, সিলেটে ৮৪, জকিগঞ্জে ১০৮ম ছাতকে ১০০, সুনামগঞ্জে ৭৫, ঢাকায় ৫১, লালাখালে ৯৫, কুড়িগ্রামে ৬৭ এবং দুর্গাপুর স্টেশনে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া দেশের উজানে ভারতের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চেরাপুঞ্জিতে ১৯৮ মিলিমিটার। এছাড়া গ্যাংটকে ৮০ এবং আগরতলায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

দেখুন: আজকের আবহাওয়ার আরও খবর