অধ্যাপক আলী আশরাফকে শোক জানালো জাতীয় সংসদ

অধ্যাপক আলী আশরাফকে শোক জানালো জাতীয় সংসদ। কুমিল্লা-৭ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মরহুম আলী আশরাফের মৃত্যুতে আনা শোকপ্রস্তাব সর্বসম্মতক্রমে গ্রহণ করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।

পরে আলী আশরাফসহ মৃত্যুবরণকারীদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি।

শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুম আলী আশরাফের আত্মার মাগফিরাত ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, আলী আশরাফ সমসাময়িক রাজনীতি, অর্থনীতি বিষয়ে ১৫টি বই লিখেছেন। এগুলো আগামী প্রজন্মকে সমৃদ্ধ করবে। আমরা অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানকে হারিয়েছি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হওয়ার পর আমি প্রতিনিয়ত খবর নিয়েছি। আশা ছিল বেঁচে ফিরে আসবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য অনেক চেষ্টা করেও তাকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারলাম না। না ফেরার দেশেই তিনি চলে গেছেন। এই সংসদের অনেক সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। এটা সত্যিই দুঃখজনক।

সংসদ নেতা বলেন, তিনি যে এলাকা থেকে নির্বাচন করতেন, সেই চান্দিনা (কুমিল্লা) এলাকা। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি কর্নেল রশিদের বাড়ি। আর তার পাশেই খন্দকার মোশতাকের বাড়ি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে একটা নির্বাচন হয়। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকে সেই নির্বাচনটি করেছিলেন। সকল রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচন বয়কট করেছিল। সেই নির্বাচনে ওই চান্দিনা থেকে কর্নেল রশিদকে নির্বাচিত করে সংসদে নিয়ে আসেন এবং খালেদা জিয়া তাকে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসিয়েছি। আর চুয়াডাঙ্গা থেকে নির্বাচিত করেছিলো মেজর হুদাকে। 

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিদের জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছিল বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে। খালেদা জিয়া বোধ হয় তার থেকে আরও একধাপ ওপরে গিয়ে জনগণের সংসদ। সেই সংসদে একজন খুনিকে এনে বসায়। পরবর্তীতে ওই আসনে আবার আলী আশরাফ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন।

অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সরকার দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মুহম্মদ ফারুক খান, সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হক, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গা, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, বিকল্প ধারার আব্দুল মান্নান, গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মো: মনসুর আহমেদ আলোচনায় অংশ নেন।