শিগগিরই ডিটিএইচ কার্যক্রম শুরু করবে বিটিভি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ডিটিএইচ লাইসেন্স দেওয়া আছে দুটি। একটি আকাশ, আরেকটি বিটিভি। বিটিভি এখনও কার্যক্রমে যায়নি, তবে খুব সহসাই যাবে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দেখছি টাটা স্কাইয়ের নামে অনেক জায়গায় ডিটিএইচ সেবা দেওয়া হচ্ছিল, সেটির বিরুদ্ধে আমরা এনফোর্সমেন্ট করেছিলাম, অনেক কমেছে। সম্প্রতি চীন থেকে সেট-টপ বক্স এনে অন্যদের ডিশ লাগিয়ে সেখান থেকে ডিটিএইচ সেবা নেওয়া হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করবো আজকের পর থেকে সবাই এগুলো বন্ধ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাটকো, টিভি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর, ক্যাবল অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, আরও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডিটিএইচ লাইসেন্স পেতে পারে। যখন ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড হবে তখন যেকোনও  টেলিভিশন চ্যানেলের পক্ষে পে-চ্যানেল বা আধা পে-চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা সম্ভব হবে। সরকারও যে প্রতি বছর অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা করে রাজস্ব হারাচ্ছে। ক্যাবল অপারেটর হিসেবে যারা কাজ করছে তারাও কিন্তু তাদের সঠিক পাওনাটা পায় না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সংযোগ যারা দিচ্ছে, সেসব সার্ভিস প্রোভাইডাররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও স্ট্রিমিং করে টেলিভিশনে দেখাচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে আনঅথরাইজ অনেক চ্যানেল দেখানো হচ্ছে, এটা তারা কোনোভাবেই করতে পারে না। ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আইপিটিভি দেখানো হচ্ছে। এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে, একজনের ডোমেইনের মধ্যে আরেকজন প্রবেশ করছে। এটি নিয়ে আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়, টেলিকম বিভাগ ও আইসিটি বিভাগের সঙ্গে অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করবো। ক্লিন ফিড চলছে কিনা সেটি নিয়ে আমরা সারাদেশে এনফোর্সমেন্টে যাবো।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পর পর দুই বছর সনদ নবায়ন না করায় এক হাজার ২০০ ক্যাবল অপারেটিং ও ফিড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এক বছর নবায়ন না করলেই এসব সনদ বাতিল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা করিনি। যাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে তাদের কেউ কেউ এখনও কাজ করছেন।’

‘ক্যাবল অপারেটিং লাইসেন্স দেওয়ার সময় এলাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। প্রায়ই এলাকা নিয়ে ঝামেলা হয়, অনেক সময় বড় ঝামেলা হয়, খুনখারাপির মতো ঘটনাও বিভিন্ন সময় ঘটেছে। সে জন্য স্ট্রিকলি আজ সভা থেকে বলে দিচ্ছি, একজনের এলাকায় আরেকজন কখনোই যেতে পারবে না এবং সেটার জন্য এনফোর্সমেন্ট করবো।