বার কাউন্সিল পরিচালনায় অ্যাডহক কমিটির সুযোগ রেখে সংসদে বিল

দৈব দুর্বিপাক অথবা অন্য কোনও অনিবার্য কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার কাউন্সিলের নির্বাচন করা না গেলে কাউন্সিলের কার্যক্রম চলমান রাখতে বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১ সংসদে তোলা হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সংসদের বৈঠকে বিলটি তুললে পরে তা সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

অবশ্য করোনাভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না করতে পারায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে গত ২৮ জুলাই একটি অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

অধ্যাদেশ জারির পর সংসদের প্রথম বৈঠকেই সেটি উত্থাপনের নিয়ম রয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর সেই অধ্যাদেশটি নিয়ম অনুযায়ী সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী।

অধ্যাদেশের বিধানগুলো বিদ্যমান আইনে সংযোজন করতেই সরকার বিলটি এনেছে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, ৩১ মে’র মধ্যে বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অতিমারি, মহামারি, দৈব ঘটনা অথবা অন্য কোনও অনিবার্য কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার কাউন্সিলের নির্বাচন করা না গেলে সরকার একটি ১৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করবে। এই কমিটির প্রধান হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

বিলে বলা হয়, এই অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ এক বছর। এই কমিটির মেয়াদ বাড়বে না বলেও বিলে বলা হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জরুরি সভা করে গত ৩ এপ্রিল বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

এর আগে গত ১৮ মার্চ বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী গত ২৫ মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।

পদাধিকারবলে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অর্থাৎ বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। তাকে নিয়ে ১৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি বার কাউন্সিলের।

ভোটের মাধ্যমে দেশের প্রায় অর্ধলক্ষ সনদপ্রাপ্ত আইনজীবী তিন বছরের জন্য ১৪ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। তার মধ্যে সাধারণ আসনে সাত জন ও দেশের সাতটি অঞ্চল থেকে বাকি সাত জনকে নির্বাচন করা হয়।

নির্বাচিত সদস্যরা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করেন।

২০১৮ সালের বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে সরকার সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা ১২টি পদে এবং বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা দুটি পদে বিজয়ী হন।

পরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হন।

বার কাউন্সিলের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত জুন মাসে।