সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলে দিতে অনুরোধ করবো: দীপু মনি

প্রায় দেড় বছর পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আসছে সপ্তাহে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সভা করে সেপ্টেম্বরেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আসছে সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবো, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত কী তা জানতে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ১২ সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সেপ্টেম্বরে খুলে দিতে আগ্রহী। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাদের ব্যাপারে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন বডি রয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবো। এই বৈঠক ৭/৮ সেপ্টেম্বর হতে পারে। ওই বৈঠকেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে আমি তাদের অনুরোধ করবো।’

এর আগে গত মাসের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অক্টোবরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দিয়েছে। তবে সে সময় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কোনও সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে।

বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সেপ্টেম্বরে খোলার ব্যাপারে আমাদের আগ্রহ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কারিগরি কমিটিও গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত তারিখ জানানো হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে অভিভাবক মহলের একটা চাপ তৈরি হয়েছে। এছাড়া টেকনিক্যাল কমিটিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে আমাদের। এর আলোকেই মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করা হবে এরইমধ্যে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাসের টিকা যথেষ্ট মজুত রয়েছে। কারিগরি কমিটিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। করোনায় আক্রান্তের হারও নিম্নমুখী। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’