জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার বাংলার মাটিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন, পৃথিবীর নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত, মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। এসবই কি জাতির পিতার অপরাধ ছিল? এজন্যই কি জাতির পিতাকে সপরিবারে খুনিরা হত্যা করেছিলো?

‘১৫ আগস্টের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এবং বাস্তবায়নকারী প্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার বাংলার মাটিতে হবে’—বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় তথ্য ভবন অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক প্রদান অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার জন্যই আমি এখানে দাঁড়িয়েছি। আমার দায়, আমার ঋণ শোধ করার জন্যই আমি ডাক্তারি পেশা ছেড়ে রাজনীতি করি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মাটিতে সকল বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। পলাতক খুনিদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার সকল প্রস্তুতি কূটনৈতিকভাবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে, আন্তর্জাতিকভাবে চলমান আছে। শুধু একটি বিচার বাকি আছে। সেটি হলো বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, শেখ জামাল, শেখ কামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, শেখ ফজলুল হক মনি, আরজু মনি, আবদুর রব সেরনিয়াবাত, কর্নেল জামিলসহ ১৮টি নিষ্পাপ প্রাণকে যারা হত্যা করেছে তাদের মূল মদদদাতা, মূল পরিকল্পনাকারী এবং বাস্তবায়নকারী প্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার বাংলার মাটিতে হবে।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের প্যানেল চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন প্রেস কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ইকবাল হোসেন চৌধুরী, তাসমিমা ইমাম ও নঈম নিজাম প্রমুখ।