‘মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাবও জমা দেবো’

মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদেরও সম্পদের হিসাব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি প্রতি পাঁচ বছর পরপর  মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব নেওয়া হবে। মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাবও জমা দেবো।’

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বিএসআরএফ আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা জানান।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারের সেবা পৌঁছে দিতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর সকল কর্মকর্তা তাদের সম্পদের হিসাব দেবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে আমরা এ সংক্রান্ত একটা চিঠিও দিয়েছি। তারা চাইলে মন্ত্রীদের হিসাবও নিতে পারেন। সরকারের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাবও জমা দেবো। যদিও আমরা পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পাই। তারপরও অন্তত একবার আমরা হিসাব জমা দিতে পারি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রীরা নিয়মিত আয়কর রিটার্ন জমা দেন। তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গণমাধ্যমকর্মীরাও মন্ত্রীদের আয়কর রিটার্নের কপি সংগ্রহ করতে পারেন। এক সময় সরকারি কর্মকর্তারা তাদের ইচ্ছা মতো আয়কর দিতেন, এখন সে অবস্থা নেই। এখন সবাই বাধ্যতামূলকভাবে আয়কর জমা দেন।’

উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধির বিবরণী তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। বিধিমালাটি কার্যকর করতে গত ২৪ জুন সরকারের সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।