আফগান সংকট: জাতিসংঘ-ইইউ সংলাপে অংশ নেবে বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের খাদ্য সংকট ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সংলাপে বসতে চায় জাতিসংঘ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-ইইউ। এ সংলাপে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাতিসংঘ ও ইইউ। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি ওই দেশটি অর্থ এবং খাদ্য সংকটে আছে। এটি নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে যে এই সংলাপে আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই কিনা। সেটাতে সম্মতি দেবো, আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘যদিও আগে তালেবান এমন একটা দল ছিল, যেটি বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ ছিল। তারপরও দেশগুলো কেন আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসছে? কারণ, তারা (তালেবান) বার্তা দিয়েছে যে দলটি পরিবর্তিত তালেবান।’

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম  বলেন, ‘আমরা খেয়াল করেছি, গতকালই (মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে এবং আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কারণ, তারা আগে যা বলছিল এবং কতটা করে দেখাচ্ছে সেটি আমাদের দেখতে হবে।’

মৌলিক কিছু আদর্শিক জায়গায় বাংলাদেশ কোনও ছাড় দিতে রাজি নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি স্থায়ী সরকারের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা শুনেছি, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার হবে এবং সেটি হওয়ার জন্য প্রক্রিয়া বাকি আছে।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এটি একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা একটি স্থায়ী সরকারের জন্য অপেক্ষা করছি।’

শান্তি ও স্থিতিশীলতা

আফগান সংকট কেটে যাক এবং এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরত আসুক, এটি চায় বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মূল দেখার জায়গা হচ্ছে—শান্তি ও স্থিতিশীলতা কতটুকু বজায় রাখা হচ্ছে। সেখানে যুদ্ধ পুরোপুরি থেমে যাক এবং বাংলাদেশিসহ অন্য বিদেশিরা যেন নিরাপদে থাকেন।’

তিনি বলেন, ‘আফগান পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি, সেখানকার অবস্থা বোঝার জন্য। কিন্তু এ ধরনের সরকার গঠিত হওয়ার পরে যে প্রক্রিয়াগুলো হয়, অর্থাৎ অভিনন্দন জানানো অথবা না জানানো—এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্তে আমরা যাচ্ছি না।’