রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কি রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তখন এ সহযোগিতা চান এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং যুদ্ধপরবর্তী দেশ গঠনে রাশিয়ার অবদান বাংলাদেশ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।’

স্বাধীনতার পরপরই তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালের মার্চ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাশিয়া সফর করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের জন্য রাশিয়ার সরকার এবং সে দেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান বঙ্গবন্ধু।

এ সময় বাংলাদেশ-রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপনে রাশিয়ার আগ্রহের কথা দেশটির নবাগত রাষ্ট্রদূত পুনর্ব্যক্ত করলে উভয় দেশই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০২৩ সালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার আশা ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।