সংসদে উঠছে সংশোধিত সমুদ্র আইন

যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোন (সংশোধনী) আইন, ২০২১’ সংসদে উপস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সংশোধনীটি বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংসদে উপস্থাপন করার সম্ভাবনা আছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুনীল অর্থনীতির গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭৪ সালে আইনটি প্রণয়ন করেন। এরপর ১৯৮২ সালে আনক্লজ (ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্যা ল অফ টি সি) গৃহীত হয় যা ২০০১ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ অণুস্বাক্ষর করে।

এই ৪৫ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হওয়ায় এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিরসন হওয়ায় আইনটির সংশোধনী আনা হয়েছে।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কন্টিগুয়াস জোন বা অঞ্চল ১৮ নটিক্যাল মাইলের পরিবর্তে ২৪ নটিক্যাল মাইল নির্ধারণ করা হয়েছে। যার উপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার থাকবে। এছাড়া এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন কতটুকু, সমুদ্র গবেষণা, সমুদ্রে অপরাধ সংগঠিত হলে বাংলাদেশ কি করবে, এবং বিচারকার্য পরিচালনার জন্য একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের ব্যবস্থা রাখা আছে।

উল্লেখ্য সংশোধিত আইনে ৩৫টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি জাহাজ বা ডুবোজাহাজের বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ফৌজদারি এখতিয়ার থেকে শুরু করে মহীসোপান, এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন, শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধি, কোর্ট স্থাপনসহ বিভিন্ন উপাদান যুক্ত করা হয়েছে।