১১ অক্টোবর থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণ

আগামী ১১ অক্টোবর থেকে আবারও ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। শুরুতে আটকে থাকা ১২ লাখ ৪৫ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বিআরটিএ এবং সেনাবাহিনীর অধীন মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। 

বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেল) শামসুল কবীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী ১০ অক্টোবর থেকে পুরনো কার্ডগুলো প্রিন্ট হওয়ার কথা। ওইদিন প্রিন্ট হয়ে গেলে পরদিন থেকে লাইসেন্স বিতরণ শুরু হবে।’

বিআরটিএ’র সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মাহবুব-ই-রব্বানী নিশ্চিত করেছেন, ‘দ্রুত স্মার্ট কার্ড ছাপার কাজ শুরু হচ্ছে। সেনাবাহিনীর অধীন মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এই উদ্যোগ নিয়েছে। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপার কাজ শুরুর ছয় মাসের মধ্যে আটকে থাকা ১২ লাখ ৪৫ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের কাজ শেষ করবে প্রতিষ্ঠানটি।’

জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে বিআরটিএ’র ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাননি প্রায় সাড়ে ১২ লাখ ড্রাইভার। মোটরযান চালানোর অস্থায়ী অনুমতিপত্র হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ ব্যবহার করছেন চালকরা। এ নিয়ে সড়কে তাদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।

বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আঙুলের ছাপ নেওয়া বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে দুই দফায় সময় বাড়িয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। 

বর্তমানে রাজধানীর পল্লবীতে অবস্থিত মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের এনরোলমেন্ট স্টেশনে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে প্রায় এক হাজার আবেদনকারীর আঙুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছরে ৪০ লাখ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করবে।