ই-কমার্সের টাকা পাওয়া গেলে ফেরত দেবো: প্রধানমন্ত্রী

ই-কমার্সের নামে জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকা ফেরত পাওয়া গেলে সেটা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে যেটুকু করার সেটুকু করেছি। তবে এরকম হায় হায় কোম্পানি যখন সৃষ্টি হয়... সেটা যদি শুরুতেই ধরিয়ে দিতে পারতেন তবে কোম্পানিগুলো মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারতো না।

তিনি বলেন, টাকাগুলো যারা নিয়েছে তারা সেগুলো কোথায় পাচার করেছে তদন্ত হচ্ছে। কোকো টাকা পাচার করেছিল। আমরা কিন্তু কিছুটা হলেও ফেরত আনতে পেরেছি। অর্থাৎ খালেদা জিয়ার ছেলের টাকা ফেরত আনতে পেরেছি। এরকম বহু আছে। চেষ্টা করে যাচ্ছি। করোনা এসে কিছুটা সমস্যা করেছে। না হলে আরও অনেকের টাকাই আনতে পারতাম।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘এই যে মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষ টাকা বানানোর যে প্রতারণা করেছে, এটার উপযুক্ত শাস্তি অবশ্যই হবে। আমরা বসে নেই। এদের ধরা হয়েছে। দুই-একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একবার যখন ধরা হয়েছে তখন টাকা কোথায় রাখলো সেটাও বের করা হবে।

সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করবেন। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচনটাকে আমরা নির্বাচন হিসেবে দেখতে চাই। জনগণের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করে জনগণের ভোটে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে চাই। জনগণ যদি ভোট না দেয় আসবো না—পরিষ্কার কথা। দেশ গড়ার প্রস্তুতিও নেবো, দল গড়ার প্রস্তুতিও নেবো।

জাহাঙ্গীরের শোকজের জবাব পেলে সিদ্ধান্ত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অডিও রেকর্ড নিয়ে দেশজুড়ে যে তোলপাড় হচ্ছে এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন কতভাবেই কত কিছু হয়। তবে তার বক্তব্যের ব্যাপারে দল থেকে শোকজ করা হয়েছে। জবাব পেলে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

টিউলিপের গাড়িতে হামলা

লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকীর গাড়িতে হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সে দেশের সরকার দেখবে। আমি এ নিয়ে মন্তব্য করবো না। এটা নিশ্চয়ই একটা গর্হিত কাজ।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণায় অনীহা

আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও গবেষণা হয় না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি গবেষণায় বিশ্বাসী। হাতেগোনা কয়েকজন গবেষণা করে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমার উদ্দেশ্য মেডিক্যাল সায়েন্সের ওপর গবেষণা করা। অথচ এ খাতে কোনও গবেষণাই হয় না। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কেন যেন গবেষণায় অনীহা কাজ করে। আমি বুঝি না এটা কেন। আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আরেকটা চাকরি করেন। সময়টা গবেষণার কাজে লাগান না তারা।