প্রতিমা তৈরি শেষ, অপেক্ষা পূজামণ্ডপে যাওয়ার

আজ বুধবার (৬ অক্টোবর) শুভ মহালয়া। এদিনের আনুষ্ঠানিকতাতেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু। পূজার বাকি আর এক সপ্তাহ। আর এক সপ্তাহ আগেই দেবী দুর্গার আরাধনায় পালিত হয় মহালয়া। এদিন ভোরে দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের গল্প শোনা এখনও সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য রীতি।

এবার ঢাকার ২৩৭টি মণ্ডপে হবে পূজা। পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, কালী মন্দির, নর্থব্রুক হল রোড, মহাকাল শিব বিগ্রহ, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজারসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় শতাধিক প্রতিমা শিল্পী গত একমাস নির্ঘুম সময় কাটিয়েছেন প্রতিমা তৈরিতে। এখন অপেক্ষা শুধু মণ্ডপে নিয়ে যাওয়ার। তবে কিছু জায়গায় এখনও তুলির শেষ আঁচড় চালাতে দেখা গেছে শিল্পীদের। খুঁটিয়ে দেখে নিচ্ছেন কোনও ত্রুটি রয়ে গেলো কিনা।

মণ্ডপে যাওয়ার অপেক্ষায়

প্রতিমা শিল্পী মিন্টু চন্দ্র পাল (৬২) বললেন, ‘গত দেড় মাস ধরে প্রতিমা তৈরি করেছি। গতকাল কাজ শেষ। অন্য বছরের চেয়ে এবার দুর্গার আশীর্বাদে ভালোই অর্ডার পেয়েছি। বছরে এমনিতে ১৫-২০টি মূর্তি বানাই। এবছর ৩৬টি বানিয়েছি। আগে একাই সব করতাম। এবার সঙ্গে দু'জন সহকারীও নিয়েছি। তাই কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছে।’

মহালয়া সম্পর্কে মিন্টু পাল বলেন, ‘আজ অমাবস্যা তিথি। এ তিথিতে আমরা পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ তর্পণ করি। এ দিন তর্পণ করলে আমাদের পিতৃপুরুষরা নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে আমাদের আশীর্বাদ দেন।’

শেষ সময়ে প্রতিমায় রঙ-তুলির ছোঁয়া দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আরেক শিল্পী পল্টন পাল (৫৭)। ৩০ বছর ধরে প্রতিমা বানিয়ে আসছেন তিনি। বললেন, ‘এ সময় ভীষণ কাজের চাপ। তবে প্রতিমা তৈরি শেষ। চুন-কালির প্রলেপ দিচ্ছি এখন। দু'তিন দিন পর ডেলিভারি দেবো। এবছর মোটামুটি ভালো কাজ পেয়েছি। গতবছর করোনায় তেমন সুবিধা করতে পারিনি।’